1. admin@daily24live.com : admin :
বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫, ০১:১৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
ট্রাক মালিক সমিতির আর্থ সামাজিক উন্নয়ন করতে চাই রাজবাড়ীতে অভিযানে আন্তঃজেলা ডাকাত চক্রের ৫ সদস্য আটক কালাইয়ে ২ হাজার ১৫০ জন কৃষক পেলেন বিনামূল্যে বীজ ও রাসায়নিক সার সুন্দরবনের পূর্বাঞ্চলে হরিণ শিকারের ফাঁদ উদ্ধার লংগদু -নানিয়ারচর রাস্তার কাজের শুভ উদ্বোধন “ কুষ্টিয়া ছাত্রাবাসে এক ছাত্রের রহস্যজনক মৃত্যু চট্টগ্রাম দক্ষিন জেলার জিয়া সাংস্কৃতিক সংগঠনের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মনোনীত হলেন পটিয়ার শাহাজান। গাইবান্ধায় সাংবাদিক পরিচয়ে এলাকাবাসীর ওপর অত্যাচার, মুক্তা ও মিলনের শাস্তি দাবি পঞ্চগড়ে নেশা জাতীয় ট্যাবলেসহ ফার্মেসির মালিক আটক গোয়ালন্দে যৌথ সভার নামে সংগঠন বিরোধী কর্মকান্ডে বিএনপি’র সংবাদ সম্মেলন

সুন্দরবনের পূর্বাঞ্চলে হরিণ শিকারের ফাঁদ উদ্ধার

Reporter Name
  • Update Time : বুধবার, ১৮ জুন, ২০২৫
  • ২৭ Time View

হারুন শেখ বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধি।

সুন্দরবনের পূর্বাঞ্চলে হরিণ শিকারের নিষ্ঠুরতা যেন কোনোভাবেই থামছে না তারা। একের পর এক অভিযানে শত শত ফাঁদ উদ্ধার হলেও শিকারি চক্রের সদস্যরা রয়ে যাচ্ছে ধরাছোঁয়ার বাইরে।

 

পূর্ব সুন্দরবনের কোকিলমনি টহল ফাঁড়ি ও টিয়ারচর এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে হরিণ শিকারের ৬(ছয়) শতাধিক ফাঁদ এবং কাঁকড়া ধরার ১৬টি নিষিদ্ধ চারু। তবে এ অভিযানে কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।

সোমবার (১৬ জুন) সন্ধ্যায় এক অভিযান চালিয়ে এসব জব্দ করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।

 

পূর্ব সুন্দরবন বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো.রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ফুট প্যাট্রোলের আওতায় রেঞ্জ কর্মকর্তা ও বনকর্মীরা কোকিলমনি টহল ফাঁড়ির টিয়ারচর এলাকায় গোপন অভিযানে নামেন। এ সময় বনের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে–ছিটিয়ে রাখা ৬(ছয়) শতাধিক মালা ফাঁদ ও ১৬টি চারু জব্দ করা হয়।

 

তিনি আরও জানান, বন বিভাগের নিয়মিত টহলের খবর পেয়ে শিকারিরা আগেভাগেই এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেছে। কিন্তু নিজেদের রক্ষা করতে ফাঁদগুলো মাটির নিচে পুঁতে রেখে যায় তারা। উদ্ধার করা সরঞ্জাম বর্তমানে কোকিলমনি টহল ফাঁড়িতে হেফাজতে রাখা হয়েছে।

 

এর আগে, ১৩ জুন পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের ঢাংমারী স্টেশন এলাকায় বন প্রহরীরা গোপন এ অভিযানে আরও ১৩৫টি মালা ফাঁদ উদ্ধার করেন। এর মধ্যে হুলার ভারানী সংলগ্ন খাল থেকে ৮২টি ও সূর্যমুখী খাল সংলগ্ন এলাকা থেকে ৫৩টি ফাঁদ জব্দ করা হয়। পরে এসব ফাঁদ সব পুড়িয়ে ধ্বংস করে দেওয়া হয়।

 

আমাদের এ অভিযান নিয়মিত হলেও শিকারিরা বারবার ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাওয়ায় প্রশ্ন উঠেছে বন বিভাগের কার্যকারিতা নিয়ে। স্থানীয়দের অভিযোগ বনের ভেতর দীর্ঘদিন ধরে একটি প্রভাবশালী শিকারি চক্র সক্রিয় রয়েছে। তারা আগাম খবর পেয়ে নিরাপদে সরে পড়ে।

পরিবেশবীদরা বলছেন, সুন্দরবনে হরিণ শিকার বন্ধ না হলে জীববৈচিত্র্য ভয়াবহ হুমকির মুখে পড়বে। শুধু আইন প্রয়োগ নয়, স্থানীয় জনসম্পৃক্ততা ও প্রযুক্তিনির্ভর নজরদারিও এখন সময়ের দাবি।

 

বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী আরও বলেন, যেকোনও ধরনের বন অপরাধ দমনে বন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিয়মিত নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। আশা করছি বন বিভাগের এ কঠোরতার মধ্য দিয়ে সকল ধরনের বন অপরাধ কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2025 Daily24live.com
Theme Customized BY : Themes Seller.Com.Bd