এম, এ, জামান, লংগদু ( রাঙ্গামাটি) প্রতিনিধি:
পাহাড়ের জেলা রাঙ্গামাটির লংগদু ও বাঘাইছড়ি সহ আরো কয়েকটি উপজেলাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবী সড়ক পথে জেলা সদরের সাথে যাতায়াত করা। বহুদিনের প্রতীক্ষিত সেই লংগদু নানিয়ারচর সংযোগ সড়কটি দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন করেছে লংগদু উপজেলার সর্বস্তরের জনগণ।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) সকাল ১১টায় লংগদু উপজেলা সর্বস্তরের ভুক্তভোগী জনসাধারণের ব্যানারে উপজেলার পাবলিক লাইব্রেরির সামনে থেকে সদর ইউনিয়নের সামনের রাস্তা পর্যন্ত এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, স্বাধীনতার দীর্ঘ ৫৪ বছর পরেও রাঙ্গামাটি জেলা সদরের সাথে লংগদু ও বাঘাইছড়িবাসীর সড়ক পথে সংযোগ সড়ক হয়ে ওঠেনি। নানিয়ারচর-লংগদু সংযোগ সড়কটি বাস্তবায়ন হলে লংগদু হয়ে দীঘিনালা, বাঘাইছড়ি ও সাজেক পৌঁছাবে সাধারণ মানুষ। বহুদিনের প্রচেষ্টা ও আশার প্রতিফলন ঘটতে যখনি শুরু করা হয়, ঠিক তখনি অদৃশ্য শক্তি এসে উন্নয়ন কাজের বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়। সাম্প্রতিক সময়ে সওজ বিভাগ রাস্তার কাজটির যাচাই-বাছাই শুরু করলে একটি অসাধুচক্র পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষার নামে অপচেষ্টা করছে। ইতিমধ্যেই রাস্তার বেশ কিছু অংশ নির্মিত হয়েছে আর মাত্র ১৭ থেকে ১৮ কিলোমিটার রাস্তার কাজ সম্পন্ন হলেই লংগদু-নানিয়ারচর সড়ক পথে সংযোগ স্থাপিত হবে। যার মাধ্যমে দেড় ঘন্টায় লংগদু হতে জেলা সদরে যাতায়াত করা সম্ভব হবে। বর্তমানে রাস্তা না থাকায় নদীপথে ঘন্টার পর ঘন্টা সময় লাগে। তাও আবার বছরের সাত থেকে আট মাস চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে নদীর নাব্যতার কারনে।
লংগদু নানিয়ারচর সংযোগ সড়ক বাস্তবায়ন পরিষদের আহবায়ক এবি এস মামুনের সভাপতিত্বে ও নুরুল ইসলাম সেলিমের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, লংগদু উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ তোফাজ্জল হোসেন, উপজেলার জামায়াতের আমীর মাওলানা মোঃ নাছির উদ্দিন, লংগদু প্রেস ক্লাবের উপদেষ্টা, প্রবীণ সাংবাদিক ও মৌজা হেডম্যান এখলাস মিয়া খান, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, মাইনীমুখ ইউনিয়নের পরিষদের চেয়ারম্যান কমল হোসেন কমল, এনসিপির শ্রমিক উইং কেন্দ্রীয় সংগঠক কলিন্স চাকমা, লংগদু প্রেসক্লাব সভাপতি এবিএস মামুন, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন রাঙামাটি জেলা সম্মনয়ক ইমাম হোসেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদের উপজেলা সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন প্রমুখ।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে উপজেলার বিভিন্ন স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি, এলাকার নানা শ্রেণি-পেশার কয়েক হাজার মানুষ অংশগ্রহন করেন।