এন এ রবিউল হাসান লিটন, পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধি:
পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার সোনাহার মল্লিকাদহ ইউনিয়নের উমেষের ডাঙ্গায় খড়খড়িয়া নদীর ওপর নির্মানাধীন সেতু দেড় বছরেও দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই। এলজিইডির প্রকল্প হলেও কাজের ধীরগতি ও নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ। এরই মধ্যে বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ায় অন্তত ১০ হাজার মানুষকে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হবে। বাড়ছে দুর্ভোগ।
স্থানীয়রা জানায়, উমেশের ডাঙ্গা থেকে সোনাহার ও দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার কয়েকটি গ্রামের মানুষ যাতায়াত করে এই নদীপথে। আগে বাঁশের সাঁকো থাকলেও সেতু নির্মাণের সময় সেটি ভেঙ্গে ফেলা হয়। যার ফলে এখন নদী পারাপার হতে দুর্ভোগ পোয়াতে হচ্ছে।
২০২৩ সালের ১৮ অক্টোবর ৬ কোটি ৩০ লাখ ৪৭ হাজার ৪৮৪ টাকা ব্যয়ে সেতুর কাজ শুরু হয়। নির্ধারিত সময় ছিল ২০২৫ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। কিন্তু সময় পেরিয়ে গেলেও একটি পিলার অসম্পূর্ণ, যা মূল কাঠামোর কাজ শুরু হয়নি।
নিম্নমানের সামগ্রী ও বারবার কাজ বন্ধ থাকার অভিযোগ এনে স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সেতু নির্মাণে মাটিযুক্ত পাথর খোলা অবস্থায় রড রেখে মরিচা ধরা সহ বিভিন্ন অনিয়ম ঘটছে। আলামিন খন্দকার জানান, অভিযোগ করলেও এলজাইডি কর্মকর্তারা শুনেও তা এড়িয়ে যাচ্ছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী শাহরিয়ার ইসলাম শাকিল বলেন, বর্ষা ও আকস্মিক বৃষ্টির কারণে কাজ ব্যাহত হয়েছে। সময় বাড়ানো হয়েছে অস্থায়ী সেতু পুনঃনির্মাণ করা হবে।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মোহাম্মদ ইউনুস এন্ড ব্রাদার্স লিমিটেড এর প্রতিনিধি আরিফ ইসলাম বলেন, আমি নতুন এসেছি, আগে কি হয়েছে আমার জানা নেই। এখন এসব অভিযোগ আমি ঠিকাদার কে জানাবো।
স্থানীয়রা দ্রুত কাজ শেষ করে যাতায়াত নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন।