চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:
আশিয়া ইউনিয়নে সন্ত্রাস, ভূমিদস্যুতা ও কিশোর গ্যাংয়ের নেতৃত্বের অভিযোগ তুলে উপজেলার সদরে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনের পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় সংবাদ সম্মেলন করেছেন দুই সহোদর যুবদল নেতা মোকাম্মেল হক তালুকদার ও সোহেল তালুকদার।
শনিবার (১৭ মে) বিকেলে
চটগ্রামের পটিয়ায় আশিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা যুবদলের সহ সভাপতি মোকাম্মেল হক তালুকদার বলেন, “আমার ও আমার ভাইয়ের বিরুদ্ধে যে মানববন্ধন করা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, মিথ্যা ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। যারা এই মানববন্ধনে অংশ নিয়েছে, তারা কেউ আশিয়ার স্থায়ী বাসিন্দা নয়। আমাদের প্রতিপক্ষ একটি গোষ্ঠী তাদেরকে টাকার বিনিময়ে ভাড়া করে এই পরিকল্পিত কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে। আমি জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি হিসেবে বিগত দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে রাজনৈতিক হয়রানির শিকার হয়েছি। কারাগারে থেকেছি, কিন্তু কখনও অন্যায়ের সঙ্গে যুক্ত হইনি। কেউ প্রমাণ করতে পারবে না আমি মাটি বা বালু কাটায় জড়িত ছিলাম কিংবা কারও ওপর জুলুম করেছি।”
তিনি আরও বলেন, “বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নাম ব্যবহার করে যারা মানববন্ধন করেছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
স্থানীয় ইউপি সদস্য মোহাম্মদ ফয়েজ বলেন, “কাঁদা ছোড়াছুড়ির মাধ্যমে কোনো সমস্যার সমাধান হয় না। সবাইকে নিয়ে একসাথে বসে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের পথ খুঁজে বের করা দরকার। আশিয়া ইউনিয়নে আমরা সকল অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করব।”
যুবদল নেতা সোহেল তার বক্তব্যে বলেন, “আশরাফুল ইসলাম তৌকির নামে যে ব্যক্তি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতা পরিচয়ে মানববন্ধনে অংশ নিয়েছে, সে একজন কিশোর গ্যাংয়ের সক্রিয় সদস্য হিসেবে গ্রেফতার হয়েছিল। অস্ত্রসহ তার একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। তার পিতা শোভনদন্ডী ইউনিয়নের নুরুল ইসলাম বিগত ১৫ বছর সাবেক বিতর্কিত হুইপ ও এমপি সামশুল হক বিচ্ছুর ছত্রছায়ায় থেকে সুবিধা ভোগ করেছেন। এ বিষয়ে আমাদের কাছে যথাযথ প্রমাণ রয়েছে। এলাকার মানুষ আমাদের সম্মানহানির চেষ্টা মেনে নেবে না।”
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, আশিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল জলিল, শিক্ষক নুরুল আমিন, কাজী মোজাফফর আহমদ, ইউপি সদস্য ফয়েজ আহমদ, পারভেজ হাসান, হেলাল উদ্দিন মেম্বার, মোজাম্মেল হক, মোহাম্মদ মিয়া সও:, শিক্ষক শাকিল আহমদ, প্রদীপ কান্তি বড়ুয়া, সাইফুল হক চৌধুরী, নুরুচ্ছফা, দীপক কান্তি বড়ুয়া, প্রদীপ চৌধুরী, আলী আকবর চৌধুরী, ছাত্রদল নেতা এমরান হোসেন জীবন, আতিকুর রহমান প্রমুখ।
উল্লেখ্য, শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পটিয়া থানার মোড়ে ‘আশিয়া ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগণ’ ব্যানারে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে বক্তারা বিএনপি নেতা মোকাম্মেল হক তালুকদার ও তার ভাই সোহেলকে সন্ত্রাসী, ভূমিদস্যু ও কিশোর গ্যাংয়ের নেতা আখ্যা দিয়ে তাদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান। মানববন্ধনে ‘বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন’-এর নেতারাও অংশ নেন।