পাবনা প্রতিনিধি:
আটঘরিয়ার দেবোত্তর ডিগ্রি কলেজের মানেজিং কমিটি নির্বাচনের মনোনয়ন ফরম তোলাকে কেন্দ্র বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় দলের কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছেন। এ ঘঁনায় উপজেলা বিএনপির অফিস ভাংচুর ও জামায়াতের অফিস ভাংচুর অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে বলে উভয়ের দলের অভিযোগ করে।
অন্যদিকে বিএনপির উপাজলা অফিসসহ তাদের ৮০/৯০টি মোটর সাইকেল ভাংচুর করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার(১৫ মে)সন্ধ্যা ৭টার দিকে এসব ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সুত্র ও পুলিশ জানায়, আটঘরিয়া উপজেলা সদরের দেবোত্তর ডিগ্রী কলেজের ম্যানেজিং কমিটি নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন ফরম বিক্রির বৃহস্পতিবার ছিল শেষ দিন। এদিন দুপুর আড়াইটার দিকে মনোনয়ন ফরম তোলাকে কেন্দ্র দুগ্রুপের মধ্যে বিরোধের সুত্রপাত হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, জামায়াত সমর্থিত অভিভাবকরা দুপুরে ফরম তুলতে গেলে অধ্যক্ষ তাদেরকে ফরম দেয়নি। এ নিয়ে প্রতিবাদ করলে সেখানে উপস্থিত বিএনপির নেতাকর্মীরা জামায়াতের কয়েকজন নেতাকর্মীকে মারধোর করে।
এ ঘটনার প্রতিবাদে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে জামায়াতের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বিএনপির উপজেলা অফিস এবং অর্ধ শতাধিক মোটর সাইকেল ভাংচুর করে। এ ঘটনার পর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বিএনপির কয়েক শ’ নেতাকর্মী মিছিল নিয়ে জামায়াতের উপজেলা অফিস ভাংচুর এবং আগুন ধরিয়ে দেয়।
এসব ঘটনায় উভয়দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে বিকেল থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত কয়েক দফা ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া এবং সংঘর্ষের ঘটনার ঘটে। এতে উভয়পক্ষের কমপক্ষে ৩০ জন আহত হন।
উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মনোয়ার হোসেন আলম বলেন, জামায়াতের নেতাকর্মী ধারালো অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর হামলা চালায়। এসময় বিএনপির উপজেলা অফিসসহ ৮০/৯০টিমোটর সাইকেল ভাংচুর করে। তাদের কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর।
জামায়াতের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন জেলা শাখার সহসভাপতি আমিরুল ইসলাম বলেন, কলেজের নির্বাচনের মনোনয়ন ফরম না দেয়ায় এবং কয়েকজন নেতাকর্মীকে মারধোরের প্রতিবাদে মুসুল্লিা-জনতা বিক্ষোভ মিছিল বের করলে বিএনপির নেতাকর্মীরা তাতে হামলা চালায়।
তারা মসজিদের গেটে ও দেয়ালে গুলিবর্ষন এবং বোমা ফাটায়।পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার পর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে কয়েকশ বিএনপি নেতা-কর্মী উপজেলা জামায়াতের অফিস ভাংচুর এবং আগুন ধরিয়ে দেয়। বিএনপির হামলায় ছাত্র শিবিরের সাবেক জেলা সভাপতি সাইদুল ইসলামসহ কমপক্ষে ২০ নেতাকর্মী গুরুতর আহত হন বলে জামায়াত নেতা দাবি করেন।
এদিকে রাত ৮টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আটঘরিয়ায় দু’দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছিল।
আটঘরিয়া থানার ওসি শফিকুজ্জামান জানান, জামায়তের পক্ষ থেকে আগে বিএনপির অফিস ও মোটর সাইকেল ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। পরে জামায়াতের অফিস ভাংচুর এবং আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। এখন পরিস্থিতি শান্ত। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।