নূর-ই-আলম সিদ্দিক, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
চেহারা যদি এভাবে ডাকতে হয়, আল্লাহ মুখ দিলেন কেন? পর্দা প্রথা খুবই ভয়ংকর অশিক্ষিত প্রথা। সামান্য সেন্স দিয়ে চিন্তা করলেই বুঝা যায়, পুরুষেরাই নিঃস্বার্থে নারীর উপর এটা চাপিয়ে দিয়েছে। অথচ নিজেরা তা মানে না। এটা আল্লাহর নামে পুরুষেরা নারীর উপর চালিয়ে দিচ্ছে। যদি এটা আল্লাহর নির্ধারিত হতো, নারীদের কচ্ছপের মতো স্থায়ী খোলস দিয়ে জন্ম দেওয়া হতো।
এভাবেই নিজ ফেসবুক প্রোফাইলে পর্দাকে নিয়ে কটূক্তিমূলক পোস্ট করলেন কুড়িগ্রামে নাগেশ্বরীর প্রস্তাবিত উপজেলার কচাকাটা কলেজের ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক লাকি খাতুন। পোস্টটিকে ঘিরে ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত হানার অভিযোগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তীব্র সমালোচনার মুখে পরেছে ওই অধ্যাপিকা। গত শুক্রবার (২ মে) এ ঘটনাটি ঘটে। পোস্টের স্ক্রিনশট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় ধর্মপ্রাণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। পর্দা নিয়ে লাকি খাতুনের এমন মন্তব্যের পর তার বিরুদ্ধে সামাজিক ও ধর্মীয় মহলে নিন্দার ঝড় তুলেদ্রুত তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
শুধু তাই নয়-পরদিন শনিবার (৩ মে) দুপুরে একদল ধর্মপ্রাণ মুসল্লি লাকি খাতুনের বিরুদ্ধে নাগেশ্বরী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)এর কাছে লিখিত অভিযোগ ও স্মারকলিপি প্রদান করে।
এবিষয়ে লাকি খাতুনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কচাকাটা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম জুয়েল লাকি খাতুনের এমন পোস্টের বিরুদ্ধে আমরা তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন – লাকি খাতুনের বিরুদ্ধে আমরা ইতিমধ্যেই কলেজে সাধারণ ছাত্র ছাত্রী ও স্টাফ সহ মানববন্ধন করেছি। সে সাথে বিষয়টি নিয়ে কলেজের সভাপতির সাথে আলাপ করেছি। আলোচনার মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
নাগেশ্বরী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম রেজা এবিষয়ে বলেন- তাকে আইনের আওতায় আনতে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম চলছে। তবে তিনি ইতোমধ্যে ভিডিও বার্তা ও স্ট্যাটাসের মাধ্যমে ক্ষমা চেয়েছেন।
এ বিষয়ে কচাকাটা কলেজের সভাপতি ও নাগেশ্বরী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিব্বির আহমেদ বলেন- বিষয়টি আমরা গুরুত্বসহকারে খতিয়ে দেখছি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।