সজিবুর রহমান নাটোর প্রতিনিধি:
নাটোর আদালত চত্বরে আদালতে হাজিরা দিতে এসে সাংবাদিকদের উপর হামলা করেছেন ময়মনসিংহ রেঞ্জ ডিআইজি অফিসের সাময়িক সাসপেন্ড এসপি ফজলুল হক। এ সময় আদালত চত্বর এলাকা উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আদালত সূত্র জানায়, ময়মনসিংহ রেঞ্জ ডিআইজি অফিসের সাময়িক বরখাস্ত হওয়া এসপি ফজলুল হক আজ নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল আদালতে হাজিরা দিতে এলে আদালতের বিচারক আব্দুর রহিম তাকে জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণ করে। এর আগে তিনি উচ্চ আদালত থেকে ছয় সপ্তাহের জামিনে ছিলেন। আজ আদালতে হাজিরা দিতে এলে তাকে এ আদেশ দেয় আদালত। পরে তাকে গাড়িতে তোলার সময় সাংবাদিকরা ছবি তুলতে এলে সাংবাদিকদের উপর হামলা করেন তিনি। পরে আদালত চত্বরে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। সম্প্রতি নারী নির্যাতন দমন আইনে তার স্ত্রী তার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করে। তারপরে এ ঘটনার জের ধরে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে পুলিশ প্রশাসন।
এখন টেলিভিশনের ক্যামেরা পার্সন জাহিদুল ইসলাম সুমন বলেন, আসামিকে কোর্ট ইন্সপেক্টরের রুম থেকে নিয়ে যাওয়ার সময় আমরা ভিডিও নিচ্ছিলাম। এ সময় আসামি আমাদের উপর অতর্কিত হামলা করে ক্যামেরায় ভাঙ্গার চেষ্টাও করে। ক্যামেরা সেভ করতে গিয়ে আমাদের হাতেও আঘাত লাগে।
যমুনা টেলিভিশনের নাটোর প্রতিনিধি ও নাটোর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান বলেন, একজন আসামীর দ্বারা কোর্ট চত্বরে গণমাধ্যম কর্মীদের হামলার শিকার হওয়া দুঃখজনক এবং অপ্রত্যাশিত।
চ্যানেল 24 এর সবাদিক ও নাটোর ইউনিক প্রেসক্লাবের সভাপতি দেবাশীষ কুমার সরকার বলেন, তিনজন ক্যামেরা পার্সন আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন। এটা কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। একজন আসামীকে যেভাবে নেওয়া দরকার সেইভাবে যদি সাবেক এসপিকেও হাতকড়া পড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হতো তাহলে আসামি এই হামলা করার সুযোগ পেতেন না।
বাদীর আইনজীবী মো. মুশফিক হাসান আদালতের আদেশের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।