ফিরোজ আল আমিন,সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি:
সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে উপজেলা বিএনপির সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি বদিউজ্জামান ফেরদৌসকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে দলের দুই নেতার সকল পদ স্থগিত ও একজনকে শোকজ করা হয়েছে। বুধবার রাতে জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক তানভীর মাহমুদ পলাশ স্বাক্ষরিত আলাদা পত্রে এ তথ্য জানানো হয়। অভিযুক্তদের মধ্যে কামারখন্দ উপজেলা বিএনপির সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির সাবেক আহ্বায়ক হাবিল উদ্দিন মন্ডল ও তার ছোট ভাই কামারখন্দ উপজেলা শ্রমিক দলের সদস্য মানিক মন্ডলের দলে থাকা সকল পদ স্থগিত এবং ভাগ্নে উপজেলা বিএনপির সদ্য বিলুপ্ত কমিটির শ্রম বিষয়ক সম্পাদক শওকত আলীকে শোকজ করা হয়েছে।ওই পত্রে বলা হয়, ১৭ ফেব্রুয়ারি বদিউজ্জামান ফেরদৌসকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করায় হাবিল উদ্দিন মন্ডল ও মানিক মন্ডল দলের শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজ করেছেন। এজন্য প্রাথমিক সদস্য পদসহ দলে থাকা তাদের সকল পদ স্থগিত করা হয়েছে। একই কাজে সহযোগিতা করার অভিযোগে শওকত আলীকে শোকজ করে আগামী ৩ দিনের মধ্যে তাকে লিখিত জবাব দিতে বলা হয়েছে।এ বিষয়ে সাবেক আহ্বায়ক হাবিল উদ্দিন মন্ডল বলেন, আমি জামতৈল বাজার এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা ও প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। ৩৮ বছর যাবত দলের সাথে জড়িত। যে কারণে আমি জামতৈল বাজার বণিক সমিতির সভাপতি হতে চেয়েছিলাম। বদিউজ্জামান ফেরদৌসের বাড়ি বাজার থেকে ৪-৫ কিলোমিটার দূরে কর্ণসূতি গ্রামে। সম্প্রতি আমাকে বাদ দিয়ে তিনি নিজে জামতৈল বাজার বণিক সমিতির সভাপতি হয়েছেন এবং জামতৈল বাজারের সরকারি ইজারা নিজে নিয়েছেন। এ বিষয়টি নিয়ে তর্কবিতর্ক হওয়ায় সে আমাকে এবং আমার ছোটভাই ও ভাগ্নেকে বহিষ্কারের জন্য জেলা বিএনপির কাছে আবেদন করেছিল। দল যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাতে আমাদের ওপর অবিচার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বদিউজ্জামান ফেরদৌস বলেন, আমি জামতৈল বাজার বণিক সমিতির সভাপতি হয়েছি এবং বাজারের সরকারি ইজারাও নিয়েছি। এ নিয়ে ওদের সাথে ঝামেলা হয়নি। কী কারণে ঝামেলা হয়েছে, তা সবাই জানে। আমি নতুন করে আর কিছু বলতে চাই না।”