নিজস্ব প্রতিবেদক:
সম্পত্তি নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধের জের ধরে পাবনার ঈশ্বরদীতে চলাচলের রাস্তায় বাঁশের বেড়া দিয়ে রাস্তা বন্ধ করার অভিযোগ উঠেছে মোন্তাজ খাঁ নামের একজনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় বিপাকে পড়েছে উপজেলার সলিমপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ২০টি পরিবারের বাসিন্দা সহ পার্শ্ববর্তী গ্রামের শতাধিক মানুষের । ফলে বাজারে আসা–যাওয়া, স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীদের যাতায়াতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
জানা গেছে, সলিমপুর ইউনিয়নের চরমিকামারী মাদ্রাসা পাড়া গ্রামের মৃত হারেজ উদ্দিন খা এর ছেলে অভিযুক্ত মোন্তাজ খা এর আবেদনের ভিত্তিতে গত ২৬ জানুয়ারি ইউনিয়ন পরিষদের আমিন এসে পার্শ্ববর্তী বাসিন্দা মৃত আনসার আলী প্রামানিকের ছেলে আব্দুল হামিদ ও তার ভাইদের জমির সীমানা নির্ধারণ করে দিয়ে যায়। হঠাৎ দুই সপ্তাহ পর আজ রবিবার সকালে মুন্তাজ খা বাঁশের বেড়া তৈরি করে শত বছরের পুরনো চলাচলের রাস্তাটি বন্ধ করে দেন। ফলে ওই রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী ২০ টি পরিবারের শতাধিক মানুষ গৃহবন্দী হয়ে পড়েছে
ভুক্তভোগী আব্দুল হামিদ নামে একজন জানান, দুপাশে বাঁশ দিয়ে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছে মুন্তাজ খা। এতে হাটবাজার, হাসপাতাল, প্রাত্যহিক কাজ ও বয়োবৃদ্ধ মানুষরা মসজিদে নামাজ পড়তে যেতে পারছে না। এছাড়াও স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসাপড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেতে পারছে না। চরম কষ্টে দিন পার করতে হচ্ছে। ভুক্তভোগী আমিরুল ইসলাম নামে আরো একজন জানান, শত বছর ধরে আমরা স্থানীয় বাসিন্দারা সহ পার্শ্ববর্তী গ্রামের শত শত নারী পুরুষ এ পথে চলাচল করে এসেছে। বিনা নোটিশে কিংবা কোনো ধরনের কথা ছাড়াই গায়ের জোরে রাস্তাটি বন্ধ করায় আমরা গৃহবন্দি হয়ে পড়েছি।
স্থানীয় বাসিন্দা ডিলু প্রামাণিক জানান, চলাচলের রাস্তা এভাবে বন্ধ করা একটি অমানবিক ও মানব গর্হিত কাজ। খুব তাড়াতাড়ি বাঁশের বেড়া সরিয়ে স্থানীয়দের চলাচলের জন্য রাস্তাটি উন্মুক্ত করে দেয়া উচিত। তবে অভিযুক্ত মোন্তাজ খাঁ বলেন, এখানে কোনো সরকারী রাস্তা নেই। এই জমির মালিক আমি। আমার জমি আমি বিক্রিও করতে পারি বন্ধ করেও রাখতে পারি, সেটা আমার ব্যাপার।
এদিকে স্থানীয় ইউপি সদস্য মিনারুল বিশ্বাস জানান, প্রাথমিকভাবে রাস্তা বন্ধের বিষয়টি শুনেছি। আমি একটু ব্যক্তিগত কাজে এলাকার বাইরে আছি। ফিরে এসে ঘটনাস্থল পর্যবেক্ষণ করবো। এ বিষয়ে সলিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মহির মন্ডল জানান, ভুক্তভোগীদের পক্ষ থেকে মৌখিকভাবে অভিযোগ পেয়েছি। আগামী বৃহস্পতিবার শুক্রবারের মধ্যে ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যরা সেখানে পর্যবেক্ষণে যাবে। ঈশ্বরদী উপজেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা সুবীর কুমার দাস জানান, স্থানীয় চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলে দ্রুতই বিষয়টি সমাধানের পদক্ষেপ নেয়া হবে।