1. admin@daily24live.com : admin :
শনিবার, ২৪ মে ২০২৫, ০২:৫৬ পূর্বাহ্ন

সন্তান হলো পিতা-মাতার জন্য জাগতিক সৌন্দর্য

Reporter Name
  • Update Time : রবিবার, ২৬ জানুয়ারি, ২০২৫
  • ১৩ Time View

ইসলাম ডেস্ক:  মানুষের জীবনে সন্তান-সন্ততি মহান আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহ। নারী জনমের পূর্ণতা ও পারিবারিক পরিমণ্ডলে মায়া-মমতার কোমল পরশ নিয়ে একটি শিশু জানান দেয় তার আগমনী বার্তা।

নবজাতকের প্রত্যাশায় পারিবারিক আবহে দোলা দিয়ে যায় অপেক্ষার প্রহর- সবার মনে থাকে একটি সুস্থ-সুন্দর শিশুর আকাঙ্ক্ষা।নবজাতকের মাধ্যমেই মানব বংশ এগিয়ে যায় যুগ-যুগান্তরের পথচলায় শতাব্দী থেকে সহস্রাব্দে। মহান আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহ সন্তানাদির জন্ম প্রক্রিয়া থেমে গেলে তো মানুষ ও মানবতা বিলুপ্তির অন্ধকারে হারিয়ে যেত। তাই মহান আল্লাহ ‘মানব শিশুর’ জন্মরহস্য সম্পর্কে ধারণা দিতে পবিত্র কোরআনের বাণীতে জানিয়ে দেন, ‘তিনি মানুষকে সৃষ্টি করেছেন জমাট রক্তপিণ্ড থেকে। ’ (সূরা আলাক: ০২)

শুধু কি তাই, সন্তান-সন্ততি হলো পিতা-মাতার জন্য জাগতিক সৌন্দর্য ও সাফল্যের বাহন। ওদের মাধ্যমেই পিতা-মাতা নিজেদের জীবনের অপ্রাপ্তি, অপূর্ণতার অবসান ঘটিয়ে সাফল্যের নতুন ভুবন রচনা করেন। কারণ স্বামী-স্ত্রীর প্রেমপূর্ণ উচ্ছ্বাস ও ভালোবাসার স্মারক স্তম্ভ হলো, মানব শিশুর প্রিয়মুখ ও পবিত্র আগমন। মহান আল্লাহ বলেন, ‘ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি দুনিয়ার জীবনের সৌন্দর্য ও সুখ-শান্তির বাহন ও উপাদান। ’ (সূরা কাহাফ: ৪৬)

সন্তান উৎপাদন, প্রতিপালনের মাধ্যমে প্রজন্ম-প্রজন্মান্তরে বংশধারা বিকশিত হয়। পারিবারিক নিরাপত্তা ও মমত্ববোধে একটি শিশু বেড়ে ওঠে আপন মহিমায়। নিজেকে মেলে ধরে সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব হিসেবে, কেউ বা নিজেকে নিয়ে যায় অনন্যতার শিখর শীর্ষে। তখন তারাই হয়ে ওঠে পরিবার-সমাজের গণ্ডি পেরিয়ে দেশ-দেশান্তর বা বিশ্বের গর্বের ধন। মানবশিশুর জন্ম তাই কখনোই অবহেলার নয়।

সন্তানপ্রত্যাশীরাও পুত্র বা কন্যার জন্য হয়ে যান দ্বিধাবিভক্ত। কেউ কেউ প্রত্যাশায় থেকে থেকে পরিবারের আকৃতি বাড়ান কিন্তু তবু হয় না প্রত্যাশিত প্রকৃতির পরিবর্তন। অথচ কন্যা বা পুত্র সন্তান জন্মদানে মানুষের কিছুই করার থাকে না। পুত্র বা কন্যাশিশু হয়ে থাকে মহান আল্লাহর ইচ্ছায়।

পবিত্র কোরআনেই মহান আল্লাহ বলেছেন, ‘আমি মানুষকে সুন্দর অবয়ব দিয়ে সৃষ্টি করেছি। ’ তাই বলা যায়, সৃষ্টিগতভাবে প্রত্যেক মানুষ মহান আল্লাহর সুন্দরতম ও শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি। তারপরও মানবিক স্থূল দৃষ্টিভঙ্গিতে আমরা মানুষের অবয়ব, বর্ণ, আকৃতি নিয়ে নানা মন্তব্য করি। কিন্তু এতে তো মানুষের কোনো কিছু করার নেই, সবই হয় মহান আল্লাহর ইচ্ছায়। তিনি বলেন, ‘সেই মহিমান্বিত সত্তা, যিনি তোমাদের মাতৃগর্ভে গড়ে তোলেন যেমন খুশি তেমন করে। ’ (সূরা আলে ইমরান: ০৫)

অভাব-দারিদ্র্যের চির অভ্যস্ত সংসারে নবজাতকের হাসি-কান্না অনেক সময় হয় অপ্রত্যাশিত। কিন্তু এ কথাও সত্য এবং আমাদের ঈমানের অংশ ‘রিজিকের মালিক মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন। ’ তাই ভয়ের কী আছে। মহান আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা দারিদ্র্যের ভয়ে তোমাদের সন্তানদের হত্যা করো না। আমিই তাদের রিজিক দেব এবং তোমাদেরও। নিশ্চয়ই তাদের হত্যা করা মহাঅন্যায়। ’ (সূরা বনী ইসরাইল: ৩১)

সুতরাং যার জন্ম হওয়ার সে জন্মাবেই, এতেও রয়েছে মহান আল্লাহর পরীক্ষা। কারণ, সম্পদশালী হলেই সন্তানের অধিকারী হওয়া যায় না, বরং এর জন্য প্রয়োজন সার্বক্ষণিক সাধনা ও সংগ্রাম। এ জন্যই মহান আল্লাহর সতর্কবাণী ‘জেনে রেখ, ধন-সম্পত্তি ও সন্তান-সন্ততি তোমাদের জন্য এক মহাপরীক্ষা। ’ (সূরা আনফাল: ২৮)

সন্তান-সন্ততি মহান আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহ। চাইলেই সবাই তা পায় না, আবার না চাইতেই অনেকে লাভ করেন মহান আল্লাহর এই অনুগ্রহ। তাই প্রত্যেক সন্তানের পিতা-মাতার কর্তব্য হলো, সন্তানকে দেশ ও দশের প্রয়োজনের উপযোগী করে গড়ে তোলা। সন্তান-সন্ততি যেন পরিবার ও সমাজের জন্য দায় বা বোঝা না হয় সেই জন্য সচেষ্ট থাকা পিতা-মাতার কর্তব্য।

বস্তুত একটি সংসারের পূর্ণতা নির্ভর করে সন্তানাদি লাভ ও প্রতিপালনের মাধ্যমে। প্রীতি-প্রেমের পুণ্যময় বাঁধনে তখনই ওই সংসারে বিরাজ করে স্বর্গীয় সুখ। এ জন্যই মহান আল্লাহ দোয়া শিক্ষা দিয়েছেন, ‘হে প্রভু! তুমি আমাকে ও আমার সন্তানদের নামাজ প্রতিষ্ঠাকারী বানাও। প্রভু আমার, তুমি আমার দোয়া কবুল করো। ’ (সূরা ইবরাহিম: ৪০)

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2025 Daily24live.com
Theme Customized BY : Themes Seller.Com.Bd